✌✌✌মুসলিম নারীরা কিভাবে শোক পালন করবে।
✌✌✌মুসলিম নারীরা কিভাবে শোক পালন করবে।
Add caption |
✌✌✌أَخْبَرَنَا حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَحِدُّ امْرَأَةٌ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلَاثٍ إِلَّا عَلَى زَوْجٍ، فَإِنَّهَا تَحِدُّ عَلَيْهِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا وَلَا تَلْبَسُ ثَوْبًا مَصْبُوغًا، وَلَا ثَوْبَ عَصْبٍ، وَلَا تَكْتَحِلُ، وَلَا تَمْتَشِطُ، وَلَا تَمَسُّ طِيبًا إِلَّا عِنْدَ طُهْرِهَا، حِينَ تَطْهُرُ نُبَذًا مِنْ قُسْطٍ وَأَظْفَارٍ»
উম্মু আতিয়্যা (রাঃ)বর্ণনা করেছেন
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ কোন নারী কারো জন্য তিন দিনের অধিককাল শোক করবে না। তবে স্বামী ব্যতীত। কেননা, সে তার জন্য চার মাস দশ দিন শোক করবে। আর সে (শোক পালনকারিণী) কোন রঙ্গিন কাপড় পরিধান করবে না, আর ঐ কাপড় তো নয় যার সুতা রঙ করিয়ে বানানো হয় এবং সুরমা লাগাবে না, আর মাথায় চিরুনী করবে না এবং সুগন্ধি লাগাবে না। কিন্তু যখন সে হায়েয হতে পাক হবে, তখন কিছু কুস্ত এবং আয্ফার১ ব্যবহার করতে পারে।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩৫৩৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
✌✌✌أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ - قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ وَاللَّفْظُ لَهُ -، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ - بِهَذِهِ الْأَحَادِيثِ الثَّلَاثَةِ -، قَالَتْ زَيْنَبُ: دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ حَبِيبَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ تُوُفِّيَ أَبُوهَا أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ، فَدَعَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِطِيبٍ فَدَهَنَتْ مِنْهُ جَارِيَةً، ثُمَّ مَسَّتْ بِعَارِضَيْهَا، ثُمَّ قَالَتْ: وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ تَحِدُّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ، إِلَّا عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا» قَالَتْ زَيْنَبُ: ثُمَّ دَخَلْتُ عَلَى زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ، حِينَ تُوُفِّيَ أَخُوهَا وَقَدْ دَعَتْ بِطِيبٍ وَمَسَّتْ مِنْهُ، ثُمَّ قَالَتْ: وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ: «لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ تَحِدُّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ، إِلَّا عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا»
যয়নাব বিন্ত আবূ সালামা (রাঃ)বর্ণনা করেছেন
আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর স্ত্রী উম্মু হাবীবা (রাঃ) –এর নিকট উপস্থিত হলাম, যখন তাঁর পিতা আবু সুফিয়ান (রাঃ) ইব্ন হারব ইন্তিকাল করেন। এ সময় উম্মু হাবীবা (রাঃ) সুগন্ধি আনান। তিনি তা বাঁদীর গায়ে লাগান, পরে নিজে তা নিজের চেহারায় মাখলেন এবং বললেনঃ আল্লাহ্র শপথ! এখন আমার সুগন্ধি লাগাবার কোন প্রয়োজন ছিল না; কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ যে নারী আল্লাহ্ এবং আখিরাতের উপর ঈমান রাখে, তার জন্য কোন মৃতের উদ্দেশ্যে তিন দিনের অধিক শোক করা জাইয নয়। কিন্তু সে স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন (শোক পালন করবে)।
এরপর আমি যয়নাব বিন্ত জাহশ (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম, যখন তাঁর ভাই ইন্তিকাল করেছিল। তিনি সুগন্ধি আনিয়ে তা লাগিয়ে বললেনঃ আল্লাহ্র শপথ! এখন আমার সুগন্ধির প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-কে মিম্বরে (দাঁড়িয়ে) বলতে শুনেছিঃ যে নারী আল্লাহ্ এবং আখিরাতের উপর ঈমান রাখে, তার জন্য কোন মৃতের উদ্দেশ্যে তিন দিনের অধিক শোক করা জাইয হয়। কিন্তু সে স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন (শোক পালন করবে)। যয়নাব (রাঃ) বলেনঃ আমি উম্মু সালামা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলতে লাগলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার কন্যার স্বামী মারা গেছে এবং তার চোখে ব্যথা, যদি আপনি অনুমতি দেন তবে আমি তার চোখে সুরমা লাগাতে পারি। তিনি বললেনঃ (সুরমা লাগাবে) না। এখন তো শুধু চার মাস দশদিন (শোক করতে হয়,) অথচ জাহিলী যুগে এরূপ নারী এক বছর পর গোবর ছুঁড়ে মারত। হুমায়দ ইব্ন নাফি’ (রহঃ) বলেন, আমি যয়নাব (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলামঃ গোবর ছুঁড়ে মারার অর্থ কী? যয়নাব (রাঃ) বর্ণনা করলেন, জাহিলী যুগে যে নারীর স্বামীর মৃত্যু হতো, সে নারী একটি ঝুপড়ি ঘরে প্রবেশ করতো। আর সে নিকৃষ্ট কাপড় পরিধান করতো, এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে সে কোন প্রকার সুগন্ধি লাগাতো না। এক বছর পর গাধা, বকরী অথবা কোন পাখি তার কাছে আনা হতো। পরে সে তা তার লজ্জা স্থানে মর্দন করতো, ফলে ঐ প্রাণী মারা যেত। তারপর সে বের হত। এরপর তাকে উটের গোবর দেয়া হতো এবং সে তা ছুঁড়ে মারত। পরে সুগন্ধি মাখতো, অথবা মনে যা চাইতো, তা করতো।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩৫৩৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
No comments