নামাজের ফরজ,সুন্নত, ওয়াজিবসমূহ
নামাজের ফরজঃ
আহকাম ও আরকান মিলিয়ে নামাজের ফরজ মোট ১৩টি। নামাজ শুরু হওয়ার আগে বাইরে যেসব কাজ ফরজ, সেগুলোকে নামাজের আহকাম ব প্রসঙ্গে কুরআনে আল্লাহ বলেনঃ
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِذَا قُمْتُمْ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ فَٱغْسِلُوا۟ وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى ٱلْمَرَافِقِ وَٱمْسَحُوا۟ بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى ٱلْكَعْبَيْنِ ۚ
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতে দণ্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। (সূরা মায়েদাঃ ৬)
২. কাপড় পাক হওয়াঃ পরনের জামা, পায়জামা, লুঙ্গি, টুপি, শাড়ি ইত্যাদি পাক পবিত্র হওয়া।এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেনঃ وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ আর তোমার পোশাক-পরিচ্ছদ পবিত্র কর। (সূরা মুদ্দাসসিরঃ ৪)
৩. নামাজের জায়গা পাক হওয়াঃ অর্থাৎ নামাজির দু’পা, দু’হাঁটু,দু’হাত ও সিজদার স্থান পাক হওয়া।
৪. সতর বা শরীর ঢাকাঃ পুরুষের নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত এবং মহিলাদের দু’হাতের কব্জি,পদদ্বয় এবং মুখমন্ডল ব্যতীত সমস্ত দেহ ঢেকে রাখা। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেনঃ
يَٰبَنِىٓ ءَادَمَ خُذُوا۟ زِينَتَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ
অর্থঃ হে বনী আদম, তোমরা প্রতি সালাতে তোমাদের বেশ-ভূষা গ্রহণ কর। (সূরা আরাফঃ৩১)
৫. কিবলামুখী হওয়াঃ কিবলা মানে কাবার দিকে মুখ করে নামাজ পড়া।এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেনঃ
وَمِنْ حَيْثُ خَرَجْتَ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ ۚ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّوا۟ وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ
আর তুমি যেখান থেকেই বের হও, তোমার চেহারা মাসজিদুল হারামের দিকে ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক, তার দিকে তোমাদের চেহারা ফিরাও। (সূরা বাকারাঃ ১৫০)
৬. ওয়াক্ত অনুযায়ী নামাজ পড়াঃ প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজ সময়মতো আদায় করতে হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেনঃإِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ كَانَتْ عَلَى ٱلْمُؤْمِنِينَ كِتَٰبًا مَّوْقُوتًا নিশ্চয় সলাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয। (সূরা নিসাঃ১০৩)
৭. নামাজের নিয়্যাত করাঃ নামাজ আদায়ের জন্য সেই ওয়াক্তের নামাজের নিয়্যাত করা আবশ্যক। এ প্রসঙ্গে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ إنما الأعمال بالنية নিশ্চই আমলের গ্রহণযোগ্যতা নিয়্যাতের ওপর নির্ভরশীল। (বুখারী,হাদিস-১)
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِذَا قُمْتُمْ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ فَٱغْسِلُوا۟ وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى ٱلْمَرَافِقِ وَٱمْسَحُوا۟ بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى ٱلْكَعْبَيْنِ ۚ
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতে দণ্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। (সূরা মায়েদাঃ ৬)
২. কাপড় পাক হওয়াঃ পরনের জামা, পায়জামা, লুঙ্গি, টুপি, শাড়ি ইত্যাদি পাক পবিত্র হওয়া।এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেনঃ وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ আর তোমার পোশাক-পরিচ্ছদ পবিত্র কর। (সূরা মুদ্দাসসিরঃ ৪)
৩. নামাজের জায়গা পাক হওয়াঃ অর্থাৎ নামাজির দু’পা, দু’হাঁটু,দু’হাত ও সিজদার স্থান পাক হওয়া।
৪. সতর বা শরীর ঢাকাঃ পুরুষের নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত এবং মহিলাদের দু’হাতের কব্জি,পদদ্বয় এবং মুখমন্ডল ব্যতীত সমস্ত দেহ ঢেকে রাখা। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেনঃ
يَٰبَنِىٓ ءَادَمَ خُذُوا۟ زِينَتَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ
অর্থঃ হে বনী আদম, তোমরা প্রতি সালাতে তোমাদের বেশ-ভূষা গ্রহণ কর। (সূরা আরাফঃ৩১)
৫. কিবলামুখী হওয়াঃ কিবলা মানে কাবার দিকে মুখ করে নামাজ পড়া।এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেনঃ
وَمِنْ حَيْثُ خَرَجْتَ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ ۚ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّوا۟ وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ
আর তুমি যেখান থেকেই বের হও, তোমার চেহারা মাসজিদুল হারামের দিকে ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক, তার দিকে তোমাদের চেহারা ফিরাও। (সূরা বাকারাঃ ১৫০)
৬. ওয়াক্ত অনুযায়ী নামাজ পড়াঃ প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজ সময়মতো আদায় করতে হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেনঃإِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ كَانَتْ عَلَى ٱلْمُؤْمِنِينَ كِتَٰبًا مَّوْقُوتًا নিশ্চয় সলাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয। (সূরা নিসাঃ১০৩)
৭. নামাজের নিয়্যাত করাঃ নামাজ আদায়ের জন্য সেই ওয়াক্তের নামাজের নিয়্যাত করা আবশ্যক। এ প্রসঙ্গে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ إنما الأعمال بالنية নিশ্চই আমলের গ্রহণযোগ্যতা নিয়্যাতের ওপর নির্ভরশীল। (বুখারী,হাদিস-১)
নামাজ শুরু করার পর নামাজের ভেতরে যেসব কাজ ফরজ, সেগুলোকে নামাজের আরকান বলা হয়। নামাজের আরকান ৬টি।যথাঃ
১. তাকবিরে-তাহরিমা বলাঃ অর্থাৎ আল্লাহর বড়ত্বসূচক শব্দ দিয়ে নামাজ আরম্ভ করা। তবে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে নামাজ আরম্ভ করা সুন্নাত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেনঃ وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ আর তোমার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। (সূরা মুদ্দাসসিরঃ৩)
২. দাঁড়িয়ে নামাজ পড়াঃ মানে কিয়াম করা। আল্লাহ বলেনঃ حَٰفِظُوا۟ عَلَى ٱلصَّلَوَٰتِ وَٱلصَّلَوٰةِ ٱلْوُسْطَىٰ وَقُومُوا۟ لِلَّهِ قَٰنِتِينَ
তোমরা সলাতসমূহ ও মধ্যবর্তী সালাতের হিফাযত কর এবং আল্লাহর জন্য দাঁড়াও বিনীত হয়ে। (সূরা বাকারাঃ ২৩৮)
৩. ক্বেরাত পড়াঃ চার রাকাতনিশিষ্ট ফরজ নামাজের প্রথম দু’রাকাত এবং ওয়াজিব,সুন্নাত,নফল নামাজের সকল রাকাতে ক্বিরাত পড়া ফরজ। আল্লাহ বলেনঃ فَٱقْرَءُوا۟ مَا تَيَسَّرَ مِنَ ٱلْقُرْءَانِ
অতএব তোমরা কুরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু পড়। (সূরা মুযাম্মিল,আয়াতঃ ২০)
৪. রুকু করাঃ প্রতিটি নামাজের প্রত্যেক রাকাতে রুকু করা ফরজ।এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন,
وَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُوا۟ ٱلزَّكَوٰةَ وَٱرْكَعُوا۟ مَعَ ٱلرَّٰكِعِينَ
অর্থঃআর তোমরা সলাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ কর। (সূরা বাকারাঃ৪৩)
৫. সিজদা করাঃ নামাজের প্রত্যেক রাকাতে সিজদা করা ফরজ।আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱرْكَعُوا۟ وَٱسْجُدُوا۟ وَٱعْبُدُوا۟ رَبَّكُمْ وَٱفْعَلُوا۟ ٱلْخَيْرَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ۩
অর্থঃ হে মুমিনগণ, তোমরা রুকূ’ কর, সিজদা কর, তোমাদের রবের ইবাদাত কর এবং ভাল কাজ কর, আশা করা যায় তোমরা সফল হতে পারবে। (সূরা হজ্জঃ৭৭)
৬. শেষ বৈঠক করাঃ নামাজের শেষ রাকাতে সিজদার পর তাশহুদ পড়তে যতটুকু সময় লাগে ততটুকু সময় বসা।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
ثُمَّ اجْلِسْ فَاطْمَئِنَّ جَالِسًا ثُمَّ قُمْ فَإِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ فَقَدْ تَمَّتْ صَلاَتُكَ
অর্থ, “অতঃপর ধীর স্থিরভাবে উঠে বসবে। পরে উঠে দাঁড়াবে। এইরূপ করতে পারলে তবে তোমার সালাত পূর্ণ হবে।স
১. তাকবিরে-তাহরিমা বলাঃ অর্থাৎ আল্লাহর বড়ত্বসূচক শব্দ দিয়ে নামাজ আরম্ভ করা। তবে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে নামাজ আরম্ভ করা সুন্নাত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেনঃ وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ আর তোমার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। (সূরা মুদ্দাসসিরঃ৩)
২. দাঁড়িয়ে নামাজ পড়াঃ মানে কিয়াম করা। আল্লাহ বলেনঃ حَٰفِظُوا۟ عَلَى ٱلصَّلَوَٰتِ وَٱلصَّلَوٰةِ ٱلْوُسْطَىٰ وَقُومُوا۟ لِلَّهِ قَٰنِتِينَ
তোমরা সলাতসমূহ ও মধ্যবর্তী সালাতের হিফাযত কর এবং আল্লাহর জন্য দাঁড়াও বিনীত হয়ে। (সূরা বাকারাঃ ২৩৮)
৩. ক্বেরাত পড়াঃ চার রাকাতনিশিষ্ট ফরজ নামাজের প্রথম দু’রাকাত এবং ওয়াজিব,সুন্নাত,নফল নামাজের সকল রাকাতে ক্বিরাত পড়া ফরজ। আল্লাহ বলেনঃ فَٱقْرَءُوا۟ مَا تَيَسَّرَ مِنَ ٱلْقُرْءَانِ
অতএব তোমরা কুরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু পড়। (সূরা মুযাম্মিল,আয়াতঃ ২০)
৪. রুকু করাঃ প্রতিটি নামাজের প্রত্যেক রাকাতে রুকু করা ফরজ।এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন,
وَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُوا۟ ٱلزَّكَوٰةَ وَٱرْكَعُوا۟ مَعَ ٱلرَّٰكِعِينَ
অর্থঃআর তোমরা সলাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ কর। (সূরা বাকারাঃ৪৩)
৫. সিজদা করাঃ নামাজের প্রত্যেক রাকাতে সিজদা করা ফরজ।আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱرْكَعُوا۟ وَٱسْجُدُوا۟ وَٱعْبُدُوا۟ رَبَّكُمْ وَٱفْعَلُوا۟ ٱلْخَيْرَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ۩
অর্থঃ হে মুমিনগণ, তোমরা রুকূ’ কর, সিজদা কর, তোমাদের রবের ইবাদাত কর এবং ভাল কাজ কর, আশা করা যায় তোমরা সফল হতে পারবে। (সূরা হজ্জঃ৭৭)
৬. শেষ বৈঠক করাঃ নামাজের শেষ রাকাতে সিজদার পর তাশহুদ পড়তে যতটুকু সময় লাগে ততটুকু সময় বসা।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
ثُمَّ اجْلِسْ فَاطْمَئِنَّ جَالِسًا ثُمَّ قُمْ فَإِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ فَقَدْ تَمَّتْ صَلاَتُكَ
অর্থ, “অতঃপর ধীর স্থিরভাবে উঠে বসবে। পরে উঠে দাঁড়াবে। এইরূপ করতে পারলে তবে তোমার সালাত পূর্ণ হবে।স
সূত্রঃ বুক অব ইসলামিক নলেজ, লেখকঃ ইকবাল কবীর মোহন
নামাযের ওয়াজিবসমূহ
ওয়াজিব অর্থ হলো আবাশ্যক। নামাযের মধ্যে কিছু বিষয় আছে অবশ্য করণীয়। তবে তা ফরজ নয়, আবার সুন্নাতও নয়। যা ভুলক্রমে ছুটে গেলে সিজদায়ে সাহু দিতে হয়।আর ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিলে নামায ভঙ্গ হয়ে যায়। নিচে ওয়াজিবসমূহ উপস্থাপন করা হলো । রুকন এর পরেই ওয়াজিব এর স্থান, যা আবাশ্যিক। যা ইচ্ছাকৃতভাবে তরক(বাদ) করলে নামায বাতিল হয়ে যায় এবং ভূলক্রমে তরক করলে ‘সিজদায়ে সাহু’ দিতে হয়। নামাযের ওয়াজিব মোট ১৪টি।যথাঃ
১. সূরা ফাতিহা পাঠ করাঃ ফরয নামাযের প্রথম দু’ রাক‘আতে এবং সকল প্রকার নামাযের প্রত্যেক রাকা‘আতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব। ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল সব ধরণের নামাযের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য। এটাই ইমাম আবু হানিফা (রহতুল্লাহ আলাই) এর অভিমত। তবে ইমাম শাফেয়ী (রহমতুল্লাহ আলাই)এটাকে ফরয হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। তাঁর দলিল-
لاً صَلاَة لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَا تِحَةِ الْكِتاَبِ
“যে নামাযে ফাতিহা পাঠ করেনি তার নামায হয়নি” (বুখারী)
২. সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলানোঃ ফরয নামাযসমূহের প্রথম দু’রাক’আতে সূরা ফাতিহার সাথে যেকোনো সূরা বা আয়াত মিলিয়ে পড়া কমপক্ষে বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পাঠ করা আবশ্যক।
৩. তারতীব মত নামায আদায় করাঃ তারতীব অনুযায়ী নামায অর্থাৎ নামাযে যে সকল কাজ বারবার আসে ঐ কাজগুলোর ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা ওয়াজিব। যেমন রুকু, ও সিজদা যা নামাযের প্রতি রাক’আতে বারবার আসে। কিরা’আত পাঠ শেষ করে রুকু’ এবং রুকু শেষ করে উঠে সিজদা করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে নামায নষ্ট হবে এবং নতুন করে নামায আদায় করতে হবে।
৪. প্রথম বৈঠকঃ চার রাকা’আত ও তিন রাকা’আত বিশিষ্ট নামাযে দু রাকা’আত শেষ করে আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করতে যতটুকু সময় লাগে, সে পরিমাণ সময় পর্যন্ত বসে থাকা ওয়াজিব।
৫. আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করাঃ নামাযের উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করা ওয়াজিব। আমরা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীস থেকে জানতে পারি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছিলেন, তুমি আত্তাহিয়্যাতু পড়। সুতরাং আলোচ্য হাদীসটিই প্রথম ও শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করা ওয়াজিব সাব্যস্ত করে।
৬. প্রকাশ্য কিরা’আত পাঠ করাঃ যে সকল নামাযে প্রকাশ্য বা উচ্চঃস্বরে কিরা’আত পাঠ করার নির্দেশ রয়েছে সেগুলোতে প্রকাশ্য কিরা’আত পাঠ করা ওয়াজিব। যেমন-ফজর, মাগরিব, ইশা, জুমু‘আ’ দু’ঈদের নামায ও তারাবীর নামায। অবশ্য একাকী আদায় করলে কিরা’আত উচ্চঃস্বরে পাঠ করা আবশ্যক নয়।
৭. চুপিসারে কিরা‘আত পাঠ করাঃ যেমন নামাযে চুপে চুপে কিরা’আত পাঠ করার নির্দেশ রয়েছে সেসব নামাযে নীরবে বা চুপে চুপে কিরা’আত পাঠ করা ওয়াজিব। যেমন- যোহর ও আসরের নামায।
৮. তা’দীলে আরকান বা ধীরস্থিরভাবে নামায আদায় করাঃ নামাযের সব কাজ ধীরে-সুস্থে করতে হবে। যেমন রুকু’ ও সিজদা নিশ্চিত ও প্রশান্ত মনে তাড়াহুড়া না করে ভালোভাবে আস্তে আস্তে আদায় করা ওয়াজিব।
৯. রুকু’থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানোঃ অর্থাৎ রুকু’ শেষে সিজদা করার পূর্বে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
১০. সিজদা থেকে সোজা হয়ে বসাঃ দু’ সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসা ওয়াজিব।
১১. সালাম বলাঃ নামায শেষে “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে নামায শেষ করা। ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুল্লাহ আলাই এর মতে এটি ফরজ।
১২. তারতীব ঠিক রাখাঃ প্রত্যেক রাকা’আতের তারতীব বা ধারাবাহীকতা ঠিক রাখা অর্থাৎ আগের কাজ পেছনে এবং পেছনের কাজ আগে না করা।
১৩. দু’আ কুনুত পাঠ করাঃ বেতরের নামাযে দু’আ কুনুত পাঠ করা ওয়াজিব।
১৪. ঈদের নামাযে তাকবীরঃ দুই ঈদের নামযে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবীর বলা ওয়াজিব।
১. সূরা ফাতিহা পাঠ করাঃ ফরয নামাযের প্রথম দু’ রাক‘আতে এবং সকল প্রকার নামাযের প্রত্যেক রাকা‘আতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব। ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল সব ধরণের নামাযের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য। এটাই ইমাম আবু হানিফা (রহতুল্লাহ আলাই) এর অভিমত। তবে ইমাম শাফেয়ী (রহমতুল্লাহ আলাই)এটাকে ফরয হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। তাঁর দলিল-
لاً صَلاَة لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَا تِحَةِ الْكِتاَبِ
“যে নামাযে ফাতিহা পাঠ করেনি তার নামায হয়নি” (বুখারী)
২. সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলানোঃ ফরয নামাযসমূহের প্রথম দু’রাক’আতে সূরা ফাতিহার সাথে যেকোনো সূরা বা আয়াত মিলিয়ে পড়া কমপক্ষে বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পাঠ করা আবশ্যক।
৩. তারতীব মত নামায আদায় করাঃ তারতীব অনুযায়ী নামায অর্থাৎ নামাযে যে সকল কাজ বারবার আসে ঐ কাজগুলোর ধারাবাহিকতা ঠিক রাখা ওয়াজিব। যেমন রুকু, ও সিজদা যা নামাযের প্রতি রাক’আতে বারবার আসে। কিরা’আত পাঠ শেষ করে রুকু’ এবং রুকু শেষ করে উঠে সিজদা করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে নামায নষ্ট হবে এবং নতুন করে নামায আদায় করতে হবে।
৪. প্রথম বৈঠকঃ চার রাকা’আত ও তিন রাকা’আত বিশিষ্ট নামাযে দু রাকা’আত শেষ করে আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করতে যতটুকু সময় লাগে, সে পরিমাণ সময় পর্যন্ত বসে থাকা ওয়াজিব।
৫. আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করাঃ নামাযের উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করা ওয়াজিব। আমরা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীস থেকে জানতে পারি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছিলেন, তুমি আত্তাহিয়্যাতু পড়। সুতরাং আলোচ্য হাদীসটিই প্রথম ও শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করা ওয়াজিব সাব্যস্ত করে।
৬. প্রকাশ্য কিরা’আত পাঠ করাঃ যে সকল নামাযে প্রকাশ্য বা উচ্চঃস্বরে কিরা’আত পাঠ করার নির্দেশ রয়েছে সেগুলোতে প্রকাশ্য কিরা’আত পাঠ করা ওয়াজিব। যেমন-ফজর, মাগরিব, ইশা, জুমু‘আ’ দু’ঈদের নামায ও তারাবীর নামায। অবশ্য একাকী আদায় করলে কিরা’আত উচ্চঃস্বরে পাঠ করা আবশ্যক নয়।
৭. চুপিসারে কিরা‘আত পাঠ করাঃ যেমন নামাযে চুপে চুপে কিরা’আত পাঠ করার নির্দেশ রয়েছে সেসব নামাযে নীরবে বা চুপে চুপে কিরা’আত পাঠ করা ওয়াজিব। যেমন- যোহর ও আসরের নামায।
৮. তা’দীলে আরকান বা ধীরস্থিরভাবে নামায আদায় করাঃ নামাযের সব কাজ ধীরে-সুস্থে করতে হবে। যেমন রুকু’ ও সিজদা নিশ্চিত ও প্রশান্ত মনে তাড়াহুড়া না করে ভালোভাবে আস্তে আস্তে আদায় করা ওয়াজিব।
৯. রুকু’থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানোঃ অর্থাৎ রুকু’ শেষে সিজদা করার পূর্বে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
১০. সিজদা থেকে সোজা হয়ে বসাঃ দু’ সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসা ওয়াজিব।
১১. সালাম বলাঃ নামায শেষে “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে নামায শেষ করা। ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুল্লাহ আলাই এর মতে এটি ফরজ।
১২. তারতীব ঠিক রাখাঃ প্রত্যেক রাকা’আতের তারতীব বা ধারাবাহীকতা ঠিক রাখা অর্থাৎ আগের কাজ পেছনে এবং পেছনের কাজ আগে না করা।
১৩. দু’আ কুনুত পাঠ করাঃ বেতরের নামাযে দু’আ কুনুত পাঠ করা ওয়াজিব।
১৪. ঈদের নামাযে তাকবীরঃ দুই ঈদের নামযে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবীর বলা ওয়াজিব।
সূত্রঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নামায, দারুস সালাম বাংলাদেশ
নামাজের সুন্নাত সমূহ
১। আজান ও ইকামত বলা। (আদ্দুররুল মুখতার মাআ শামী-২/৪৮)
২। তাকবিরে তাহরিমার সময় উভয় হাত উঠানো। (তানভীরুল আবসার মাআ শামী-২/১৮২)
৩। হাত উঠানোর সময় আঙ্গুলগুলি স্বাভাবিক রাখা। (ফাতাওয়া শামী-২/১৭১)
৪। ইমামের জন্য তাকবীর গুলিউচ্চ স্বরে বলা। (হিন্দিয়া-১/১৩০)
৫। সানা পড়া। (বাদায়েউস সানায়ে- ১/৪৭১)
৬। আউযুবিল্লাহ পড়া। (বাদায়েউস সানায়ে- ১/৪৭২)
৭। বিসমিল্লাহ পড়া। (বাদায়েউস সানায়ে- ১/৪৭৪)
৮। অনুচ্চস্বরে আমীন বলা। (বাদায়েউস সানায়ে- ১/৪৭৩)
৯। সানা,আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ,আমীন অনুচ্চস্বরে বলা। (হিন্দিয়া-১৩১)
১০। হাত বাধার সময় বাম হাতের উপর ডান হাত রাখা। (হিন্দিয়া-১/১৩১)
১১। পুরুষের জন্য নাভির নিচে,আর মহিলার জন্য বুকের উপর হাত বাঁধা। (হিন্দিয়া-১/১৩০)
১২। এক রোকন থেকে অন্য রোকনে যাবার সময় “আল্লাহু আকবার” বলা। (বাদায়েউস সানায়ে- ১/৪৮৩-৪৮৯)
১৩। একাকী নামাজ পাঠকারির জন্য রুকু থেকে উঠার সময় “সামিয়াল্লাহুলিমান হামিদা” ও “রব্বানা লাকাল হামদ” বলা। ইমামের জন্য শুধু “সামিয়া’ল্লাহু লিমান হামিদা” বলা আর মুক্তাদির জন্য শুধু “রব্বানা লাকাল হামদ” বলা। (মারাকিল ফালাহ-২৭৮)
১৪। রুকুতে “সুবহানা রব্বিয়াল আযীম” বলা। (বাদায়েউস সানায়ে- ১/৪৭৮)
১৫। সেজদায় বলা “সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা”। (বাদায়েউস সানায়ে- ১/৪৯৪)
১৬। রুকুতে উভয় হাটু আকড়ে ধরা। (বাদায়েউস সানায়ে- ১/৪৮৭)
১৭। রুকুতে পুরুষের জন্য উভয় হাতের আঙ্গুল ফাঁকা রাখা। আর মহিলার জন্য মিলিয়ে রাখা। (শামী-২/১৭৩)
১৮। পুরুষের জন্য নামজে বসার সময় বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসা ও ডান পা খাড়া রাখে আঙ্গুলগুলো কেব্লার দিক করে রাখা। আর মহিলার জন্য উভয় পা ডান দিকে বের করে জমিনের উপর বসা। (বাদায়েউস সানায়ে-১/৪৯৬)
১৯। শেষ বৈঠকে তাশাহ্যুদের পর দুরুদ শরীফ পড়া। (বাদায়েউস সানায়ে-১/৫০০)
২০। দুরুদের পর দোয়া পড়া। (হিন্দিয়া-১/১৩০)
২১। তাশাহ্যুদে “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলার সময় শাহাদাত(তর্জনি) আঙ্গুল দ্বারা কেবলার দিকে ইশারা করা। (বাদায়েউস সানায়ে-১/৫০১-৫০২)
২। তাকবিরে তাহরিমার সময় উভয় হাত উঠানো। (তানভীরুল আবসার মাআ শামী-২/১৮২)
৩। হাত উঠানোর সময় আঙ্গুলগুলি স্বাভাবিক রাখা। (ফাতাওয়া শামী-২/১৭১)
৪। ইমামের জন্য তাকবীর গুলিউচ্চ স্বরে বলা। (হিন্দিয়া-১/১৩০)
৫। সানা পড়া। (বাদায়েউস সানায়ে- ১/৪৭১)
৬। আউযুবিল্লাহ পড়া। (বাদায়েউস সানায়ে- ১/৪৭২)
৭। বিসমিল্লাহ পড়া। (বাদায়েউস সানায়ে- ১/৪৭৪)
৮। অনুচ্চস্বরে আমীন বলা। (বাদায়েউস সানায়ে- ১/৪৭৩)
৯। সানা,আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ,আমীন অনুচ্চস্বরে বলা। (হিন্দিয়া-১৩১)
১০। হাত বাধার সময় বাম হাতের উপর ডান হাত রাখা। (হিন্দিয়া-১/১৩১)
১১। পুরুষের জন্য নাভির নিচে,আর মহিলার জন্য বুকের উপর হাত বাঁধা। (হিন্দিয়া-১/১৩০)
১২। এক রোকন থেকে অন্য রোকনে যাবার সময় “আল্লাহু আকবার” বলা। (বাদায়েউস সানায়ে- ১/৪৮৩-৪৮৯)
১৩। একাকী নামাজ পাঠকারির জন্য রুকু থেকে উঠার সময় “সামিয়াল্লাহুলিমান হামিদা” ও “রব্বানা লাকাল হামদ” বলা। ইমামের জন্য শুধু “সামিয়া’ল্লাহু লিমান হামিদা” বলা আর মুক্তাদির জন্য শুধু “রব্বানা লাকাল হামদ” বলা। (মারাকিল ফালাহ-২৭৮)
১৪। রুকুতে “সুবহানা রব্বিয়াল আযীম” বলা। (বাদায়েউস সানায়ে- ১/৪৭৮)
১৫। সেজদায় বলা “সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা”। (বাদায়েউস সানায়ে- ১/৪৯৪)
১৬। রুকুতে উভয় হাটু আকড়ে ধরা। (বাদায়েউস সানায়ে- ১/৪৮৭)
১৭। রুকুতে পুরুষের জন্য উভয় হাতের আঙ্গুল ফাঁকা রাখা। আর মহিলার জন্য মিলিয়ে রাখা। (শামী-২/১৭৩)
১৮। পুরুষের জন্য নামজে বসার সময় বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসা ও ডান পা খাড়া রাখে আঙ্গুলগুলো কেব্লার দিক করে রাখা। আর মহিলার জন্য উভয় পা ডান দিকে বের করে জমিনের উপর বসা। (বাদায়েউস সানায়ে-১/৪৯৬)
১৯। শেষ বৈঠকে তাশাহ্যুদের পর দুরুদ শরীফ পড়া। (বাদায়েউস সানায়ে-১/৫০০)
২০। দুরুদের পর দোয়া পড়া। (হিন্দিয়া-১/১৩০)
২১। তাশাহ্যুদে “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলার সময় শাহাদাত(তর্জনি) আঙ্গুল দ্বারা কেবলার দিকে ইশারা করা। (বাদায়েউস সানায়ে-১/৫০১-৫০২)
নামাজের মুস্তাহাব সমূহ
১। দাঁড়ানো অবস্থায় সেজদার স্থানের দিকে, রুকু অবস্থায় উভয় পায়ের পাতার উপর, সেজদার সময় নাকের দিকে, বৈঠকের সময় কোলের দিকে দৃষ্টি রাখা। (বাদায়েউস সানায়ে-১/৫০৩)
২। তাকবীরে তাহরিমা বলার সময় হাত চাদর থেকে বাহিরে বের করে রাখা।
৩। সালাম ফিরানোর সময় উভয় কাঁধের উপর দৃষ্টি রাখা। (মারাকিল ফালাহ-১৫১)
৪। নামাজে মুস্তাহাব পরিমান ক্বেরাত( ফজর ও যোহরে তিওয়ালে মুফাস্যাল,সূরা হুজরাত থেকে সূরা বুরুজ পর্যন্ত।আছর ও ইশাতে আওসাতে মুফাস্যাল, সূরা তরেক থেকে বায়্যিনা পর্যন্ত। মাগরীবে কিসারে মুফাস্যাল সূরা যিলযাল থেকে শেষ পর্যন্ত।)পড়া। (ফাতাওয়া শামী-২/২৬১)
৫। জুমআর দিন ফজরের নামাজে প্রথম রাকাতে সূরা আলিফ,লাম,মিম সেজদা ও দ্বিতীয় রাকাতে সূরা দাহর পড়া। (ফাতাওয়া শামী-২/২৬৫)
৬। যথা সম্ভব কাঁশি ও ঢেকুর চেপে রাখা। (ফাতাওয়া শামী-২/১৭৬)
৭। হাই আসলে মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করা। (ফাতাওয়া শামী-২/১৭৭)
লেখকঃ মুফতি হাফিজ উদ্দীন,জামেয়াতুল আলআসাদ আল-ইসলামিয়া,ঢাকা
২। তাকবীরে তাহরিমা বলার সময় হাত চাদর থেকে বাহিরে বের করে রাখা।
৩। সালাম ফিরানোর সময় উভয় কাঁধের উপর দৃষ্টি রাখা। (মারাকিল ফালাহ-১৫১)
৪। নামাজে মুস্তাহাব পরিমান ক্বেরাত( ফজর ও যোহরে তিওয়ালে মুফাস্যাল,সূরা হুজরাত থেকে সূরা বুরুজ পর্যন্ত।আছর ও ইশাতে আওসাতে মুফাস্যাল, সূরা তরেক থেকে বায়্যিনা পর্যন্ত। মাগরীবে কিসারে মুফাস্যাল সূরা যিলযাল থেকে শেষ পর্যন্ত।)পড়া। (ফাতাওয়া শামী-২/২৬১)
৫। জুমআর দিন ফজরের নামাজে প্রথম রাকাতে সূরা আলিফ,লাম,মিম সেজদা ও দ্বিতীয় রাকাতে সূরা দাহর পড়া। (ফাতাওয়া শামী-২/২৬৫)
৬। যথা সম্ভব কাঁশি ও ঢেকুর চেপে রাখা। (ফাতাওয়া শামী-২/১৭৬)
৭। হাই আসলে মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করা। (ফাতাওয়া শামী-২/১৭৭)
লেখকঃ মুফতি হাফিজ উদ্দীন,জামেয়াতুল আলআসাদ আল-ইসলামিয়া,ঢাকা
নামাজের মাকরুহসমূহ
১. নামাযে কোন অসুবিধা হলে তাসবীহ বলা অথবা হাততালি দেয়া
عن سهل بن سعد رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا ناب احدكم شيء في صلاته فليسبّح فان التسبيح للرجال , والتصفيق للنساء.
"সাহল ইবনে সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি কারো নামাযের মধ্যে কোন সমস্যা হয়, তাহলে সে যেন সুবহানাল্লাহ' বলে। কারণ পুরুষের জন্য "সুবহানাল্লাহ' বলা এবং স্ত্রীলোকদের জন্য হাততালি দেয়া বিধেয়। (মুজামুল কাবীর তাবারানী,হাঃ ৫৮৫৭) তবে অযথা হাততালি দেয়া নিষেধ ।
২. নামাযের মধ্যে আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন
عبد الله بن شدّاد, "سمعت نشيج عمر , وانا في آخر الصفوف يقراُ : إنَّماَ اَشْكُوْ بَثِّي وَحُزْنِي اِلىَ اللهِ.
তাবিয়ী আব্দুল্লাহ ইবনে শাদ্দাদ বলেন, আমি শেষ কাতারে দাঁড়িয়ে উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর ক্রন্দনের শব্দ শুনতে পেলাম, তিনি তখন পড়ছিলেন (অর্থ) “আমি আমার অসহনীয় বেদনা ও আমার দুঃখ শুধু আল্লাহর নিকট নিবেদন করছি।” (সূরা ইউছুফঃ৮৬)(বুখারী)
৩. মুসল্লীর সামনে দিয়ে গমনকারীর পাপ
عن ابو جهيم قال: رسول الله صلي الله عليه وسلم : لو يعلم المارُّ بين يدى المصلىِّ ماذا عليه , لكان ان يقف اربعين خيرا له من ان يمرَّ بين يديه.
আবু জুহায়িম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি নামায আদায়রত মুসল্লীর সামনে দিয়ে গমনাগমন করে, সে যদি জানত যে তার এ কর্মে কঠিন অপরাধ, তাহলে তার জন্য চল্লিশ বছর যাবৎ দাঁড়িয়ে থাকা মুসল্লীর সামনে দিয়ে চলার চেয়ে উত্তম হতো। (বুখারীঃহাঃ ৫১০)
৪. নামাযের মধ্যে কাঁকর সমান করা, কপাল মোছা ও অকারণে নড়াচড়া মাকরূহ
عن عبد الله بن بريدة, عن ابيه, رضي الله عنه, انَّ رسول الله صلي الله عليه وسلم قال: ثلاث من الجفاء: ان يبول اللرجل قاءئما, او يمسح جبهته قبل ان يفرغ من صلاته, او ينفخ في سجوده.
“হযরত আব্দুল্লাহ বিন বুরায়দা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি কাজ অভদ্রতা ও অশালীনতার অন্তর্ভুক্ত। তন্মধ্যে কোন ব্যক্তি দাড়িয়ে পেশাব করা নামায শেষ করার আগেই কপালের ধুলাবালি মোছা, অথবা সাজদার মধ্যে ফু দেয়া (ফুঁ দিয়ে সাজদার স্থান পরিস্কার করার উদ্দেশ্য) । (মুসনদে বযযারঃ হাঃ ৪৪২৪)
৫. নামাযের মধ্যে আঙ্গুল ফুটানো
عن علي، ان رسول الله صلي الله عليه وسلم قال: لاتفقع أصابعك وأنت في الصلاة
আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,নামাযের মধ্যে তুমি তোমার আঙ্গুল ফুটাবে না। (ইবনে মাজাহঃ হাঃ ৯৬৫)
৬. নামাযের মধ্যে কোমরে হাত রেখে দাঁড়ানো
عن أبي هريرة رضي الله عنه ، قال: نهى النبي صلي الله عليه وسلم أن يُصلي الرّجُل مُختصرًا
আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন যে, যেন কোন ব্যক্তি নামাযের মধ্যে কোমরে হাত রেখে না দাড়ায়। (বুখারী, হাঃ ১২২০)
৭.নামাযের মধ্যে উপরের দিকে তাকানো
عن جابر بن سمرة, قال: قال رسول الله صلي الله عليه وسلم: لينتهين اقوام يرفعون أبصارَهُمْ إلى السماء في الصّلاة، أو لا ترجع إليهم
জাবির ইবনে সামুরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে সকল মানুষ নামাযের মধ্যে তাদের দৃষ্টি (আকাশের দিকে) উপরে উঠায় তারা যেন অবশ্যই তা থেকে বিরত হয়, তা না হলে তাদের দৃষ্টি (মনোযোগ) আর তাদের কাছে ফিরে আসবে না। (মুসলিম, হাঃ ৪২৮/১১৭)
৮. নামাযের মধ্যে কাপড় ঝুলিয়ে রাখা
عن ابي هريرة ,ان رسول الله صلي الله عليه وسلم نهي عن السدل في الصلاة وان يغطي اللرجل فاه.
“আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের মধ্যে কাপড় ঝুলিয়ে রাখতে নিষেধ করেছেন। তিনি আরো নিষেধ করেছেন, নামায আদায়কারী ব্যক্তি যেন তার মুখ আবৃত করে না রাখে”। (আবু দাউদ, হাঃ ৬৪৩)
৯. উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে ইমামতি করা মাকরূহ
عن عبد الله بن مسعود انه: كره ان يئومهم علي المكان المرتفع
“আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত , তিনি উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে মুসল্লীদের ইমামতি করতে অপছন্দ করতেন,(মাকরূহ মনে করতেন) (মুজামুল কাবীর তাবরানী, হাঃ ৯৫৬১)
১০. মেহেরাবে দাঁড়িয়ে ইমামতি করা
عن عبد الله بن مسعود انه: كره الصلاة في المحراب.
“ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি মেহরাবের মধ্যে নামায আদায় করা অপছন্দ করতেন (মাকরূহ মনে করতেন)।তিনি বলেন, এ মেহেরাবগুলো ছিল গির্জায়; কাজেই তোমরা ইয়াহুদী-নাসারাদের অনুসরণ করো না। (মুসনদে বযযার,হাঃ ১৫৭৭)
১১. নামাযের মধ্যে চক্ষু বন্ধ রাখা
عن ابن عباس , قال: قال رسول الله صلي الله عليه وسلم: إذا اقام احدكم في الصلاة فلا يغمض عينيه.
“ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদে কেউ নামাযে দাঁড়াবে, তখন সে যেন তার চক্ষুদ্বয় বন্ধ না করে। (তাবারানী, হাঃ ১০৯৫৬)
১২.নামাযের মধ্যে হাই তোলা
عن ابي هريرة ,ان النبي صلي الله عليه وسلم قال: التثاؤب في الصلاة من الشيطان, فاذا تثاءب احدكم فليمظم مااستطاع.
“আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নামাযের মধ্যে হাই তোলা শায়তানের পক্ষ থেকে। যদি তোমাদের কারো নামাযের মধ্যে হাই উঠার উপক্রম হয়, তাহলে সে যেন তা যথাসাধ্য সংবরণ ও প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। (তিরমিযি,হাঃ ৩৭০)
১৩. নামাযের মধ্যে হাতের আঙ্গুলসমূহ পরস্পরের মধ্যে প্রবেশ করানো
عن كعب بن عجرة ’قال إن رسول الله صلي الله عليه وسلم قال: إذا توضّا احدكم فاحسن وُضوءه, ثم خرج عامدا الي المسجد فلا يشبكن يديه فانه في صلاة.
“কা’ব ইবনে আজরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ অজু করবে এবং এর পর মসজিদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে, তাখন সে যেন তার দুই হাতের আঙ্গুলগুলো পরস্পরের মধ্যে প্রবেশ না করায়; কারণ সে এ অবস্থায় নামাযের মধ্যে রয়েছে। (আবু দাউদ, হাঃ ৫৬২)
১৪. নামাযের মধ্যে পায়ের গোড়ালির ওপরে বা নিতম্বের ওপরে বসা
عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عَلِيُّ أُحِبُّ لَكَ مَا أُحِبُّ لِنَفْسِي وَأَكْرَهُ لَكَ مَا أَكْرَهُ لِنَفْسِي لاَ تُقْعِ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ
আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন বলেছেন হে আলী আমার জন্য যা পছন্দ করি তোমার জন্যও তা পছন্দ করি, আমার জন্য যা না পছন্দ করি তোমর জন্যও তা না পছন্দ করি। দুই সিজাদার মাঝে নিতম্ব ভূমিতে রেখে দুই হাটু তুলে বসবে না। (তিরমিযি,হাঃ ২৮২) [গ্রন্থকার বলেন, যদি কোনো ওজর না থাকে, তাহলে চারজানু হয়ে বসা অপছন্দনীয়। ওজর বা অসুবিধা থাকলে এভাবে বসতে কোন আপক্তি নেই।]
১৫. নামাযের মধ্যে মুখ ঢাকা
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ السَّدْلِ فِي الصَّلاَةِ وَأَنْ يُغَطِّيَ الرَّجُلُ فَاهُ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্তিকাস্পর্শী লম্বা কাপড় পরিধান করে নামায পড়তে নিষেধ করেছেন এবং নামাযের সময় মুখ ঢাকতেও নিষেধ করেছেন- (তিরমিযী,হাঃ৬৪৩, ইবনু মাজাহ)।
১৬. নামাযের মধ্যে দাঁড়ি নাড়াচাড়া করা
عن معمر’ عن رجل’ قال:راى سعيد بن المسيب رجلا وهو يعبث بلحيته في الصلاة ’ فقال: لو خشع قلب هذا ’ لخشعت جوارحه.
“মা’মার এক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন, হযরত সাঈদ ইবনুল মাসাঈব এক ব্যক্তিকে নামাযের মধ্যে নিজের দাড়ি নাড়াচাড়া করতে দেখে বলেন, এ ব্যক্তির অন্তর যদি ভীত-বিনম্র হতো, তাহলে এর অঙ্গ প্রতঙ্গও ভীত-বিনম্র ও শান্ত হতো। (মুসান্নিফে ইবনে আবী শায়বা,হাঃ ৬৭৮৭)
১৭. নিজ ঘরে নফল নামায না পড়ার অভ্যাস
এ প্রসঙ্গে হাদীসে এসেছেঃ
عن ابي هريرة , قال :قال رسول الله صلي الله عليه وسلم لا تجعلوا بيوتكم قبورا.
“হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা ঘরগুলোকে কবর বানিও না। (আবু দাউদ,হাঃ ২০২৪)
১৮. বায়ু নির্গমন সন্দেহে নামায ছেড়ে দেয়া
এ প্রসঙ্গে হাদীসে এসেছে
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ فَوَجَدَ حَرَكَةً فِي دُبُرِهِ أَحْدَثَ أَوْ لَمْ يُحْدِثْ فَأَشْكَلَ عَلَيْهِ فَلاَ يَنْصَرِفْ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا "
”আবূ হুরায়রা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তোমাদের কেউ নামাযের মধ্যে থাকাকালীন যদি অনুভব করে যে, তার পশ্চাৎ-দ্বার দিয়ে কিছু নির্গত হয়েছে বা হয়নি এবং তা তার মনে সন্দেহের উদ্রেক করে- তবে তার নামায ত্যাগ করা উচিত নয়; যতক্ষণ না সে বায়ু নির্গমনের শব্দ শোনে অথবা দুর্গন্ধ অনুভব করে।" (আবু দাউদ, হাঃ ১৭৭)
১৯. ফরয নামায পড়ার পর পরই সে স্থানে নফল নামায পড়া
এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছেঃ
دَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ عَطَاءِ بْنِ أَبِي الْخُوَارِ، أَنَّ نَافِعَ بْنَ جُبَيْرٍ، أَرْسَلَهُ إِلَى السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ ابْنِ أُخْتِ نَمِرٍ يَسْأَلُهُ عَنْ شَىْءٍ، رَأَى مِنْهُ مُعَاوِيَةُ فِي الصَّلاَةِ فَقَالَ صَلَّيْتُ مَعَهُ الْجُمُعَةَ فِي الْمَقْصُورَةِ فَلَمَّا سَلَّمْتُ قُمْتُ فِي مَقَامِي فَصَلَّيْتُ فَلَمَّا دَخَلَ أَرْسَلَ إِلَىَّ فَقَالَ لاَ تَعُدْ لِمَا صَنَعْتَ إِذَا صَلَّيْتَ الْجُمُعَةَ فَلاَ تَصِلْهَا بِصَلاَةٍ حَتَّى تَكَلَّمَ أَوْ تَخْرُجَ فَإِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِذَلِكَ أَنْ لاَ تُوصَلَ صَلاَةٌ بِصَلاَةٍ حَتَّى يَتَكَلَّمَ أَوْ يَخْرُجَ .
আল-হাসান ইবনে আলী (রহমাতুল্লাহ আলাইহি) নাফে ইবনে যুবায়ের (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমর ইবনে আতা (রহমাতুল্লাহ আলাইহি) তাঁকে সায়েব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর খিদমতে এই সংবাদ সহ পাঠান যে, আপনি নামায আদায়কালে মুয়াবিয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) আপনাকে কি করতে দেখেছেন? তিনি বলেন, একদা আমি মসজিদের মেহ্রাবে তাঁর সাথে জুমার নামায আদায় করি। নামাযের সালাম ফিরাবার পর আমি স্বস্থানে নামায আদায় করি। এ সময় মুয়াবিয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) তাঁর ঘরে গিয়ে আমার নিকট সংবাদ পাঠান যে, তুমি এখন যেরূপ করেছ আর কখনো এরূপ করবে না। জুমার ফরয নামায আদায়ের পর, স্থান না বদলিয়ে বা কথা না বলে পুনঃ নামাযে দাড়াঁবে না। কেননা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কেউ যেন এক নামাযের (ফরয নামাযের) সাথে অন্য নামায না মিলায়, যতক্ষণ না সে ঐ স্থান ত্যাগ করে বা কথা বলে। (আবু দাউদ,হাঃ১১২৯) তবে বের হওয়ার কোনো জায়গা না থাকলে অথবা বিশেষ প্রয়োজনে পড়া যেতে পারে।
عن سهل بن سعد رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا ناب احدكم شيء في صلاته فليسبّح فان التسبيح للرجال , والتصفيق للنساء.
"সাহল ইবনে সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি কারো নামাযের মধ্যে কোন সমস্যা হয়, তাহলে সে যেন সুবহানাল্লাহ' বলে। কারণ পুরুষের জন্য "সুবহানাল্লাহ' বলা এবং স্ত্রীলোকদের জন্য হাততালি দেয়া বিধেয়। (মুজামুল কাবীর তাবারানী,হাঃ ৫৮৫৭) তবে অযথা হাততালি দেয়া নিষেধ ।
২. নামাযের মধ্যে আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন
عبد الله بن شدّاد, "سمعت نشيج عمر , وانا في آخر الصفوف يقراُ : إنَّماَ اَشْكُوْ بَثِّي وَحُزْنِي اِلىَ اللهِ.
তাবিয়ী আব্দুল্লাহ ইবনে শাদ্দাদ বলেন, আমি শেষ কাতারে দাঁড়িয়ে উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর ক্রন্দনের শব্দ শুনতে পেলাম, তিনি তখন পড়ছিলেন (অর্থ) “আমি আমার অসহনীয় বেদনা ও আমার দুঃখ শুধু আল্লাহর নিকট নিবেদন করছি।” (সূরা ইউছুফঃ৮৬)(বুখারী)
৩. মুসল্লীর সামনে দিয়ে গমনকারীর পাপ
عن ابو جهيم قال: رسول الله صلي الله عليه وسلم : لو يعلم المارُّ بين يدى المصلىِّ ماذا عليه , لكان ان يقف اربعين خيرا له من ان يمرَّ بين يديه.
আবু জুহায়িম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি নামায আদায়রত মুসল্লীর সামনে দিয়ে গমনাগমন করে, সে যদি জানত যে তার এ কর্মে কঠিন অপরাধ, তাহলে তার জন্য চল্লিশ বছর যাবৎ দাঁড়িয়ে থাকা মুসল্লীর সামনে দিয়ে চলার চেয়ে উত্তম হতো। (বুখারীঃহাঃ ৫১০)
৪. নামাযের মধ্যে কাঁকর সমান করা, কপাল মোছা ও অকারণে নড়াচড়া মাকরূহ
عن عبد الله بن بريدة, عن ابيه, رضي الله عنه, انَّ رسول الله صلي الله عليه وسلم قال: ثلاث من الجفاء: ان يبول اللرجل قاءئما, او يمسح جبهته قبل ان يفرغ من صلاته, او ينفخ في سجوده.
“হযরত আব্দুল্লাহ বিন বুরায়দা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি কাজ অভদ্রতা ও অশালীনতার অন্তর্ভুক্ত। তন্মধ্যে কোন ব্যক্তি দাড়িয়ে পেশাব করা নামায শেষ করার আগেই কপালের ধুলাবালি মোছা, অথবা সাজদার মধ্যে ফু দেয়া (ফুঁ দিয়ে সাজদার স্থান পরিস্কার করার উদ্দেশ্য) । (মুসনদে বযযারঃ হাঃ ৪৪২৪)
৫. নামাযের মধ্যে আঙ্গুল ফুটানো
عن علي، ان رسول الله صلي الله عليه وسلم قال: لاتفقع أصابعك وأنت في الصلاة
আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,নামাযের মধ্যে তুমি তোমার আঙ্গুল ফুটাবে না। (ইবনে মাজাহঃ হাঃ ৯৬৫)
৬. নামাযের মধ্যে কোমরে হাত রেখে দাঁড়ানো
عن أبي هريرة رضي الله عنه ، قال: نهى النبي صلي الله عليه وسلم أن يُصلي الرّجُل مُختصرًا
আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন যে, যেন কোন ব্যক্তি নামাযের মধ্যে কোমরে হাত রেখে না দাড়ায়। (বুখারী, হাঃ ১২২০)
৭.নামাযের মধ্যে উপরের দিকে তাকানো
عن جابر بن سمرة, قال: قال رسول الله صلي الله عليه وسلم: لينتهين اقوام يرفعون أبصارَهُمْ إلى السماء في الصّلاة، أو لا ترجع إليهم
জাবির ইবনে সামুরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে সকল মানুষ নামাযের মধ্যে তাদের দৃষ্টি (আকাশের দিকে) উপরে উঠায় তারা যেন অবশ্যই তা থেকে বিরত হয়, তা না হলে তাদের দৃষ্টি (মনোযোগ) আর তাদের কাছে ফিরে আসবে না। (মুসলিম, হাঃ ৪২৮/১১৭)
৮. নামাযের মধ্যে কাপড় ঝুলিয়ে রাখা
عن ابي هريرة ,ان رسول الله صلي الله عليه وسلم نهي عن السدل في الصلاة وان يغطي اللرجل فاه.
“আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের মধ্যে কাপড় ঝুলিয়ে রাখতে নিষেধ করেছেন। তিনি আরো নিষেধ করেছেন, নামায আদায়কারী ব্যক্তি যেন তার মুখ আবৃত করে না রাখে”। (আবু দাউদ, হাঃ ৬৪৩)
৯. উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে ইমামতি করা মাকরূহ
عن عبد الله بن مسعود انه: كره ان يئومهم علي المكان المرتفع
“আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত , তিনি উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে মুসল্লীদের ইমামতি করতে অপছন্দ করতেন,(মাকরূহ মনে করতেন) (মুজামুল কাবীর তাবরানী, হাঃ ৯৫৬১)
১০. মেহেরাবে দাঁড়িয়ে ইমামতি করা
عن عبد الله بن مسعود انه: كره الصلاة في المحراب.
“ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি মেহরাবের মধ্যে নামায আদায় করা অপছন্দ করতেন (মাকরূহ মনে করতেন)।তিনি বলেন, এ মেহেরাবগুলো ছিল গির্জায়; কাজেই তোমরা ইয়াহুদী-নাসারাদের অনুসরণ করো না। (মুসনদে বযযার,হাঃ ১৫৭৭)
১১. নামাযের মধ্যে চক্ষু বন্ধ রাখা
عن ابن عباس , قال: قال رسول الله صلي الله عليه وسلم: إذا اقام احدكم في الصلاة فلا يغمض عينيه.
“ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদে কেউ নামাযে দাঁড়াবে, তখন সে যেন তার চক্ষুদ্বয় বন্ধ না করে। (তাবারানী, হাঃ ১০৯৫৬)
১২.নামাযের মধ্যে হাই তোলা
عن ابي هريرة ,ان النبي صلي الله عليه وسلم قال: التثاؤب في الصلاة من الشيطان, فاذا تثاءب احدكم فليمظم مااستطاع.
“আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নামাযের মধ্যে হাই তোলা শায়তানের পক্ষ থেকে। যদি তোমাদের কারো নামাযের মধ্যে হাই উঠার উপক্রম হয়, তাহলে সে যেন তা যথাসাধ্য সংবরণ ও প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। (তিরমিযি,হাঃ ৩৭০)
১৩. নামাযের মধ্যে হাতের আঙ্গুলসমূহ পরস্পরের মধ্যে প্রবেশ করানো
عن كعب بن عجرة ’قال إن رسول الله صلي الله عليه وسلم قال: إذا توضّا احدكم فاحسن وُضوءه, ثم خرج عامدا الي المسجد فلا يشبكن يديه فانه في صلاة.
“কা’ব ইবনে আজরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ অজু করবে এবং এর পর মসজিদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে, তাখন সে যেন তার দুই হাতের আঙ্গুলগুলো পরস্পরের মধ্যে প্রবেশ না করায়; কারণ সে এ অবস্থায় নামাযের মধ্যে রয়েছে। (আবু দাউদ, হাঃ ৫৬২)
১৪. নামাযের মধ্যে পায়ের গোড়ালির ওপরে বা নিতম্বের ওপরে বসা
عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عَلِيُّ أُحِبُّ لَكَ مَا أُحِبُّ لِنَفْسِي وَأَكْرَهُ لَكَ مَا أَكْرَهُ لِنَفْسِي لاَ تُقْعِ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ
আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন বলেছেন হে আলী আমার জন্য যা পছন্দ করি তোমার জন্যও তা পছন্দ করি, আমার জন্য যা না পছন্দ করি তোমর জন্যও তা না পছন্দ করি। দুই সিজাদার মাঝে নিতম্ব ভূমিতে রেখে দুই হাটু তুলে বসবে না। (তিরমিযি,হাঃ ২৮২) [গ্রন্থকার বলেন, যদি কোনো ওজর না থাকে, তাহলে চারজানু হয়ে বসা অপছন্দনীয়। ওজর বা অসুবিধা থাকলে এভাবে বসতে কোন আপক্তি নেই।]
১৫. নামাযের মধ্যে মুখ ঢাকা
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ السَّدْلِ فِي الصَّلاَةِ وَأَنْ يُغَطِّيَ الرَّجُلُ فَاهُ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্তিকাস্পর্শী লম্বা কাপড় পরিধান করে নামায পড়তে নিষেধ করেছেন এবং নামাযের সময় মুখ ঢাকতেও নিষেধ করেছেন- (তিরমিযী,হাঃ৬৪৩, ইবনু মাজাহ)।
১৬. নামাযের মধ্যে দাঁড়ি নাড়াচাড়া করা
عن معمر’ عن رجل’ قال:راى سعيد بن المسيب رجلا وهو يعبث بلحيته في الصلاة ’ فقال: لو خشع قلب هذا ’ لخشعت جوارحه.
“মা’মার এক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন, হযরত সাঈদ ইবনুল মাসাঈব এক ব্যক্তিকে নামাযের মধ্যে নিজের দাড়ি নাড়াচাড়া করতে দেখে বলেন, এ ব্যক্তির অন্তর যদি ভীত-বিনম্র হতো, তাহলে এর অঙ্গ প্রতঙ্গও ভীত-বিনম্র ও শান্ত হতো। (মুসান্নিফে ইবনে আবী শায়বা,হাঃ ৬৭৮৭)
১৭. নিজ ঘরে নফল নামায না পড়ার অভ্যাস
এ প্রসঙ্গে হাদীসে এসেছেঃ
عن ابي هريرة , قال :قال رسول الله صلي الله عليه وسلم لا تجعلوا بيوتكم قبورا.
“হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা ঘরগুলোকে কবর বানিও না। (আবু দাউদ,হাঃ ২০২৪)
১৮. বায়ু নির্গমন সন্দেহে নামায ছেড়ে দেয়া
এ প্রসঙ্গে হাদীসে এসেছে
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ فَوَجَدَ حَرَكَةً فِي دُبُرِهِ أَحْدَثَ أَوْ لَمْ يُحْدِثْ فَأَشْكَلَ عَلَيْهِ فَلاَ يَنْصَرِفْ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا "
”আবূ হুরায়রা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তোমাদের কেউ নামাযের মধ্যে থাকাকালীন যদি অনুভব করে যে, তার পশ্চাৎ-দ্বার দিয়ে কিছু নির্গত হয়েছে বা হয়নি এবং তা তার মনে সন্দেহের উদ্রেক করে- তবে তার নামায ত্যাগ করা উচিত নয়; যতক্ষণ না সে বায়ু নির্গমনের শব্দ শোনে অথবা দুর্গন্ধ অনুভব করে।" (আবু দাউদ, হাঃ ১৭৭)
১৯. ফরয নামায পড়ার পর পরই সে স্থানে নফল নামায পড়া
এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছেঃ
دَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ عَطَاءِ بْنِ أَبِي الْخُوَارِ، أَنَّ نَافِعَ بْنَ جُبَيْرٍ، أَرْسَلَهُ إِلَى السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ ابْنِ أُخْتِ نَمِرٍ يَسْأَلُهُ عَنْ شَىْءٍ، رَأَى مِنْهُ مُعَاوِيَةُ فِي الصَّلاَةِ فَقَالَ صَلَّيْتُ مَعَهُ الْجُمُعَةَ فِي الْمَقْصُورَةِ فَلَمَّا سَلَّمْتُ قُمْتُ فِي مَقَامِي فَصَلَّيْتُ فَلَمَّا دَخَلَ أَرْسَلَ إِلَىَّ فَقَالَ لاَ تَعُدْ لِمَا صَنَعْتَ إِذَا صَلَّيْتَ الْجُمُعَةَ فَلاَ تَصِلْهَا بِصَلاَةٍ حَتَّى تَكَلَّمَ أَوْ تَخْرُجَ فَإِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِذَلِكَ أَنْ لاَ تُوصَلَ صَلاَةٌ بِصَلاَةٍ حَتَّى يَتَكَلَّمَ أَوْ يَخْرُجَ .
আল-হাসান ইবনে আলী (রহমাতুল্লাহ আলাইহি) নাফে ইবনে যুবায়ের (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমর ইবনে আতা (রহমাতুল্লাহ আলাইহি) তাঁকে সায়েব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর খিদমতে এই সংবাদ সহ পাঠান যে, আপনি নামায আদায়কালে মুয়াবিয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) আপনাকে কি করতে দেখেছেন? তিনি বলেন, একদা আমি মসজিদের মেহ্রাবে তাঁর সাথে জুমার নামায আদায় করি। নামাযের সালাম ফিরাবার পর আমি স্বস্থানে নামায আদায় করি। এ সময় মুয়াবিয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) তাঁর ঘরে গিয়ে আমার নিকট সংবাদ পাঠান যে, তুমি এখন যেরূপ করেছ আর কখনো এরূপ করবে না। জুমার ফরয নামায আদায়ের পর, স্থান না বদলিয়ে বা কথা না বলে পুনঃ নামাযে দাড়াঁবে না। কেননা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কেউ যেন এক নামাযের (ফরয নামাযের) সাথে অন্য নামায না মিলায়, যতক্ষণ না সে ঐ স্থান ত্যাগ করে বা কথা বলে। (আবু দাউদ,হাঃ১১২৯) তবে বের হওয়ার কোনো জায়গা না থাকলে অথবা বিশেষ প্রয়োজনে পড়া যেতে পারে।
No comments